আমার কবিতা
আবৃত্তি করা যায় না
ছন্দ, দ্বন্দ সবই আছে
ভাষা গভীরতা পায়না।
ভারি ভারি শব্দ
পারিনাতো লিখতে
কবিতার মান তাই
পায় নাকো বাড়তে।
মিলমিশ, ভুলচুখ
সবই থাকে লেখাতে
কলমে নেই যে পাখা
পারেনাকো উড়তে।
যতো ভাবি ফস করে
লেখা কিছু ঠিক নয়
মানুষের কথা তবু
মানুষকেই বলতে হয়।
কেমন করে পারি
চুপ করে থাকতে
সহ্যের সীমা কতো
চাই সেটা জানতে।
কবিতাটা লিখি শুধু
কষ্টকে গিলতে
মনে মনে চাই সব
এক হোক মিলতে।
গরীব বা বড়লোক
ভেদাভেদ নেই আর
সকলে দিব্যি আছে
সুন্দর সংসার।
পৃথিবীটা ধরো যদি
সত্যি এমন হয়
‘ভাইরাস’ থেকে জেনো
হবে না তো কোন ভয়।
দম্ভের ‘ভাইরাস’
রোজ বয়ে যাচ্ছি
ভাবিনাতো একবারও
কোথায় হারাচ্ছি।
উঁচুতে আছেন যারা
তাকান না নীচুতে
খেয়াল রাখেন শুধু
আছে কতো পিছুতে
সেই সংখ্যাটা তাদের
আসলেতে রোজগার
সবটা একলা খেতে
ছুঁড়ে ফেলে ভাগীদার।
এইভাবে গড়ে জেনো
শ্রেণী বৈষম্য
মানবতা বুঝে ফেলে
সাম্য অসাম্য।
ঠাঁই নেই এর মাঝে
মানবিকতার ভাই
লাশ হয়ে বেঁচে আছি
আজকে সবাই তাই।
এসো সব এক হই
প্রতিরোধ গড়াতে
প্রতিষেধক পাবে জেনো
লেখা আর পড়াতে।
হাততালি আর জেনো
কারোর জন্য নয়
হারানোর নেই কিছু
পাবোনাতো আর ভয়।
ইঞ্চি, ইঞ্চি মেপে
বুঝে নেবো এইবার
সব মাফ হয়ে গেছে
গতকাল শেষবার।
বনানী ——-